আসতেই পারেন। বিশ্বকাপের শুরুতেই আর্জেন্টিনাকে খাদের কিনারায় ঠেলে দেওয়া সৌদি আরবের বিপক্ষে ওই ম্যাচের অন্যতম আলোচিত চরিত্র। যাঁর দু–দুটি গোল বাতিল হয়ে গেছে অফসাইডের সূক্ষ্মতম বিচারে। তবে এটাই কি লাওতারো মার্তিনেজকে পাঠানোর কারণ, নাকি এর মধ্যে অন্য কিছু আছে! চাপে পড়ে যাওয়া দল, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া দল অনেক সময়ই পুরোনো সুখস্মৃতি রোমন্থন করে নিজেদের উজ্জীবিত করতে চায়। এমন কিছুও কি কাজ করেছে লাওতারো মার্তিনেজকে নির্বাচনে?
আর্জেন্টিনা দলের আবহ, প্রস্তুতি—এসব নিয়ে যেমন কথা বলতে হলো মার্তিনেজকে; তেমনি প্রতিপক্ষ মেক্সিকোকে নিয়েও। তা বলতে গিয়ে একাধিকবার মেক্সিকোর বিপক্ষে আর্জেন্টিনার সর্বশেষ ম্যাচটার প্রসঙ্গ টেনে আনলেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। সেই ম্যাচ তিন বছরের বেশি আগে। ২০১৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর যা হয়েছিল মার্কিন মুলুকে, আর্জেন্টিনা জিতেছিল ৪-০ গোলে। আপনার অনুমান ঠিক আছে, লাওতারো মার্তিনেজ সেই ম্যাচে ভালো খেলেছিলেন। ভালো মানে, খুবই ভালো। মার্তিনেজের একমাত্র আন্তর্জাতিক হ্যাটট্রিকটি সেই ম্যাচেই।
সেই ম্যাচের অভিজ্ঞতা থেকেই আর্জেন্টিনার রণকৌশলের একটা আভাসও দিয়ে রাখলেন। মেক্সিকো খুব ওপেন ফুটবল খেলে। আর্জেন্টিনার অস্ত্র হবে তাই পাল্টা আক্রমণ। ‘ওদের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে যা আমরা সফলভাবে করেছিলাম’—তা তো করেছিলেনই, কিন্তু সেটি ছিল প্রীতি ম্যাচ আর এখানে বিশ্বকাপে টিকে থাকার লড়াই। যে বিশ্বকাপের জন্য আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের হাহাকার। বিশ্বকাপে আসার আগে ৩৬ ম্যাচের অপরাজেয় যাত্রাপথে কোপা জিতে ২৮ বছরের শিরোপা-খরা ঘুচেছে বলে প্রত্যাশাটাও এবার তুঙ্গে। লিওনেল মেসির শেষ বিশ্বকাপ, এই ‘ছোট্ট’ ব্যাপারটা তো আছেই। সবকিছু মিলিয়ে আর্জেন্টিনা এখন বিষম চাপে।
যা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে চাইলেন লাওতারো মার্তিনেজ। মেক্সিকোর বিপক্ষে হেরে গেলে তা কেমন বিপর্যয়কর হবে—প্রশ্নটা সরাসরিই করলেন এক সাংবাদিক। মার্তিনেজ দাবি করলেন, এমন কিছু নিয়ে আর্জেন্টিনা দলে কোনো কথাই হচ্ছে না। চাপ-টাপও কিচ্ছু নেই। সৌদি আরবের বিপক্ষে ওই পরাজয় নাড়িয়ে দিয়েছে সত্যি, তবে এখন তা অতীত, তা নিয়ে ভাবার সময় নেই। সব মনোযোগ মেক্সিকো ম্যাচে। যেটিতে আর্জেন্টিনার জন্য তাঁরা সবাই জীবন দিয়ে দেবেন।