যুবলীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বড় জমায়েতের লক্ষ্য নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে প্রস্তুতি চলেছে। গতকাল ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল বেলা আড়াইটায়। কিন্তু সকাল থেকেই রাজধানীসহ সারা দেশ থেকে যুবলীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকেন। মূল সংগঠন আওয়ামী লীগও জমায়েতে অংশ নেয়।
একপর্যায়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশস্থলের বাইরে শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, মৎস্য ভবন, রমনাসহ আশপাশের এলাকা লোকে ভরে যায়। অনেকে দূরদূরান্ত থেকে বাস, ট্রাক, পিকআপ নিয়ে আসেন। সেগুলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরেও রাখতে দেখা গেছে। বরিশাল থেকে অনেকে লঞ্চে এসেছেন। সমাবেশে আসা ব্যক্তিদের অনেকেই জানান, তাঁদের যাত্রা শুরু হয়েছে আগের রাতে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল ছুটির দিনেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজট হয়।
মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে যুবলীগের নেতাদের বক্তৃতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা পরিবেশনা চলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাবেশস্থলে পৌঁছান বেলা আড়াইটার দিকে। এরপর তিনি পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
সবার শেষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নেতা-কর্মীদের আশ্বস্ত করে বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না। তিনি বিরোধীদের সমালোচনার বিষয়ে বলেন, ‘ওরা যত কথাই বলুক, বিভ্রান্ত হবার কিছু নেই। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা এগিয়ে যাব।’
উন্নয়নের সমালোচকেরা চোখ থাকতে অন্ধ বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভূমিহীনেরা ঘর পেয়েছে। দেশে দরিদ্র মানুষ থাকবে না। বাংলাদেশ পারে। জাতির পিতার মতো তিনিও বিশ্বাস করেন বাংলাদেশকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।