চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা ইউনিয়নে বুধবার দুপুরে পদ্মা নদীতে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় শিশুসহ দুজন নিহত হয়েছে। জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ২০ জনকে।
নৌকাটিতে প্রায় ৫০ যাত্রী ছিলেন। বাকি ব্যক্তিদের সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উদ্ধার অভিযান শেষ করা হয়েছে।
ইউনিয়নের পাকার বোগলাউড়ি থেকে দশরশিয়া ঘাটে যাওয়ার পথে মাঝনদীতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলেন দশরশিয়া গ্রামের খাইরুল ইসলামের স্ত্রী নিলুফা বেগম (৫০) ও তাঁর নাতনি সদর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মো. বাবুর মেয়ে মায়েসা খাতুন (৫)।
নিহত নিলুফা বেগমের দেবর ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য দুরুল হোদা জানান, নৌকায় নিলুফা বেগমের স্বামী খাইরুল ইসলাম, নাতি মো. আসমাউলসহ (৯) আরও দুই স্বজন ছিলেন। খাইরুল ও আসমাউলকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নৌকার মাঝির বরাত দিয়ে দুরুল হোদা বলেন, নিম্নচাপের কারণে নদীতে বাতাস ও ঢেউ ছিল। ঢেউয়ের কারণে নৌকায় পানি উঠে পড়ে। এ কারণে নৌকা ডুবে যায়। যাত্রী ছিল ৩৫ থেকে ৪০ জন।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাকিব আল রাব্বি, পাকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ছাবের আলী প্রামাণিক ও বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নৌকাডুবির সময় নদীতে প্রচণ্ড স্রোত ছিল। যাত্রী ও পণ্য নিয়ে নৌকা ছাড়ার ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে তা মাঝনদীতে ডুবে যায়।
জীবিত উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে ছাবের আলী প্রামাণিক বলেন, দশরশিয়ায় ছিল হাটবার। এ জন্য নৌকায় আলু, বেগুনের বস্তা ও ডাব ছিল। বেশ কয়েকটি বাইসাইকেলের পাশাপাশি যাত্রীদের বসানো হয়েছিল গাদাগাদি করে। এতে যাত্রীরা আপত্তি করলেও তাঁদের কথা শোনা হয়নি। অতিরিক্ত বোঝাইয়ের কারণে নৌকাটি ডুবি যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।